ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের চোরগাছা মৌজায় (হিলি রোড) প্রাচীন এ মসজিদটি অবস্থিত।ঘোড়াঘাট উপজেলা কেন্দ্র থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে পাকা রাস্তার উত্তরধারে ৩৫০-২০০ গজ আয়তন বিশিষ্ট বিশাল একটি পাড়ওয়ালা দীঘির দক্ষিণ ধারেআলোচ্য মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটি জনহীন এক জনপদের নীরব সাক্ষী। এর নাম নিয়েআছে নানা কথা কেউ বলেন সৌর মসজিদ , কেউ বলেন সুরা মসজিদ , আবার কেউ বলেশাহ সুজা মসজিদ। সুর শব্দের অর্থ অপদেবতা বা জ্বীন। স্থানীয় মুরুববীরাজানান, এক রাতের মধ্যে জ্বীনেরা এটি নির্মাণ করে দেন, তাই এর নাম সুরামসজিদ হয়েছে। সৌর শব্দের অর্থ আসমানী বা গায়েবী অর্থাৎ লোকচক্ষুর আড়ালে যাঘটে বা হয় তাই গায়েবী। অর্থাৎ গায়েবী ভাবেই মসজিদটি নির্মীত হয়েছে। আবারঅনেকে বলেন- মোগল আমলে বাংলার নবাব সুজা এটি নির্মাণ করে দেন বলে এর নামশাহ সুজা মসজিদ হয়েছে। এমন ধরণের আরো অনেক কথা লোকমুখে শোনা যায়। বাস্তবেশাহ সুজার ক্ষমতা গ্রহণের অনেক আগে এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। মসজিদেরনামকরণ ও নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে উপরে উল্লেখিত কোন তথ্য সঠিক বলে মেনেনেয়া যায় না। কারণ , যে ক্ষেত্রে মসজিদের শিলালিপি বা প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে নির্মাণশৈলী বা স্থাপত্য কাঠামো নির্মাণকাল নির্ধারণে একটিঅনুসঙ্গ বলে বিবেচিত হয়। এ ক্ষেত্রে আলোচ্য মসজিদের শিলালিপি নেই। তাইগঠনশৈলীর উপর ভিত্তি করেই সম্ভাব্য নির্মাণকাল বের করা যায়। আলোচ্যমসজিদটির বাইরের দিকের আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৪০ ফুট এবং পূর্ব পশ্চিমে ২৬ফুট। চার ফুট উচু মজবুত প্লাটফর্মের উপর মসজিরদর কাঠামো গড়ে উঠেছে। প্রধানকক্ষের আয়তন ভিতরে ১৬´১৬ ফুট। প্রধান কক্ষের সাথে যুক্ত আছে ৬ ফুট প্রশস্তরাস্তা। মসজিদের বাইরের দিবে দেয়ালে গায়ে ছোট ছোট খোপকাটা টেরাকোটা অলংকরণইমারতের বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও লতাজাতীয়াভিনব নকশায়বাইরের দেয়াল সুসজ্জিত যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করে। ইতিহাসবিদ অধ্যাপকদানী এটিকে গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এর আমলে নির্মিত বলে অনুমানকরেন। আলোচ্য এই মসজিদটি সুলতানী আমলে ( ১৪৯৩-১৫১৮) খ্রিষ্ঠাব্দে নির্মিতবলে ধারণা করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস